
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তা পূরণ করতে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে জাতির কলঙ্কমোচন করা হয়েছে। দেশ আজ উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়ানোর দ্বারপ্রান্তে। যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।
জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর প্রবাসে থাকা তিনি ও বোন রেহানা অসহায়ের মতো দিন কাটিয়েছেন। এই অসহায়ত্বের পরেও প্রবাসেই প্রথম সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তার বোন শেখ রেহানা। এরপর ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে দেশের মাটিতে পা রাখলেও ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। জিয়াউর রহমান চাননি খুনের তদন্ত হোক। উল্টো তাদের প্রশ্রয় দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে বঙ্গবন্ধর খুনি, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে জাতিকে লজ্জায় পর্যবসিত করা হয়েছে। ছিনিমিনি খেলা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, ৯৬’এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু করে।তবে সে মেয়াদে বিচার শেষ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী কালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ খুনিদের বিচার সম্পন্ন করেছে। দেশ এখন কলঙ্কমুক্ত। এখন সময় এগিয়ে যাওয়ার। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দেশের মানুষের সকল মৌলিক চাহিদাপূরণ হবে, মানুষ উন্নত জীবন পাবে। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন যেকোনো মূল্যে পূরণ করা হবে। এজন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছেন জানিয়ে তিনি বলেন,‘আল্লাহ ছাড়া কাউকে পরোয়া করি না’।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, স্বপ্নপূরণের পথে যেকোনো বাধা মোকাবেলায় আওয়ামী লীগও প্রস্তুত। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা বাস্তবায়নে দলটির অগ্রণী ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিক’ হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পাঠকের মতামত